বাংলাদেশে চায়ের ইতিহাসঃ
বাংলাদেশের চা বাগানসমূহের ইতিহাস ও ঐতিহ্য দীর্ঘ দিনের। আসাম এবং তার আশপাশে চা চাষের উদ্যোগ বর্তমান বাংলাদেশেও সম্প্রসারিত হয়। তবে আসামে চা চাষের আগেও বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে চা চাষের উদ্যোগের কথা জানা যায়। ১৮২৮ সালে চট্টগ্রামের কোদালা চা বাগানে জন্য জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরে বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব যেখানে অবস্থিত সেখানে প্রথম পরীক্ষামূলক চা গাছ রোপন করা হয়। এটি নাকি 'কুন্ডদের বাগান' নামে পরিচিত ছিল। বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব ভবন মূলত ছিল বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলো। বাগান টি লাভজনক হয়নি। বৃহৎপরিসরে বাগান হওয়ার আগেই তা পরিত্যক্ত হয়। বর্তমান সার্কিট হাউজ, জেলা জজের বাংলো, স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশের পাহাড়ী এলাকা জুড়ে এই বাগান বিস্তৃত ছিল। ১৮২৮ সালে জায়গা বরাদ্ধ পেলেও চা বোর্ডের রেকর্ড থেকে জানা যায় যে, ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে কোদালা চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। বলা হয়ে থাকে এটি বাংলাদেশের প্রথম চা বাগান।
তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীন বর্তমান বাংলাদেশের বহু এলাকায়ই পরীক্ষামূলক বাগান করেছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিংবা ১৮৫৭ সালের পরবর্তীকালের ব্রিটিশ সরকার। ভারতীয় উপমহাদেশে যখন চায়ের আবাদ হয় সিলেট (শ্রীহট্ট) তখন আসামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আসামের অন্যান্য স্থানের মত সিলেটেও তখন চায়ের আবাদ শুরু হয়। সিলেট শহরের উপকন্ঠে ১৮৫৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক আবাদ মালনিছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বাগানে চা উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকে এ দেশে চা একটি কৃষি ভিত্তিক শ্রমঘন শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, আমদানি বিকল্প দ্রব্য উৎপাদন এবং গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মাধ্যমে চা জাতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরবর্তীতে ১৮৬০ সালে হবিগঞ্জের লালচাঁন্দ চা বাগান ও মৌলভীবাজারের মির্তিঙ্গা চা বাগানে চায়ের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়। এরপর সিলেটে ও চট্টগামে চা বাগানের বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পঞ্চগড়ে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চায়ের চাষ শুর হয় এবং ২০০৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে বান্দরবানে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চায়ের চাষ শুর হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমানে পঞ্চগড়ে একটি ও বান্দরবানে একটি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উপকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে।
বাংলাদেশের চা বাগানসমূহের ইতিহাস ও ঐতিহ্য দীর্ঘ দিনের। আসাম এবং তার আশপাশে চা চাষের উদ্যোগ বর্তমান বাংলাদেশেও সম্প্রসারিত হয়। তবে আসামে চা চাষের আগেও বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে চা চাষের উদ্যোগের কথা জানা যায়। ১৮২৮ সালে চট্টগ্রামের কোদালা চা বাগানে জন্য জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরে বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব যেখানে অবস্থিত সেখানে প্রথম পরীক্ষামূলক চা গাছ রোপন করা হয়। এটি নাকি 'কুন্ডদের বাগান' নামে পরিচিত ছিল। বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব ভবন মূলত ছিল বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলো। বাগান টি লাভজনক হয়নি। বৃহৎপরিসরে বাগান হওয়ার আগেই তা পরিত্যক্ত হয়। বর্তমান সার্কিট হাউজ, জেলা জজের বাংলো, স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশের পাহাড়ী এলাকা জুড়ে এই বাগান বিস্তৃত ছিল। ১৮২৮ সালে জায়গা বরাদ্ধ পেলেও চা বোর্ডের রেকর্ড থেকে জানা যায় যে, ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে কোদালা চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। বলা হয়ে থাকে এটি বাংলাদেশের প্রথম চা বাগান।
তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীন বর্তমান বাংলাদেশের বহু এলাকায়ই পরীক্ষামূলক বাগান করেছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিংবা ১৮৫৭ সালের পরবর্তীকালের ব্রিটিশ সরকার। ভারতীয় উপমহাদেশে যখন চায়ের আবাদ হয় সিলেট (শ্রীহট্ট) তখন আসামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আসামের অন্যান্য স্থানের মত সিলেটেও তখন চায়ের আবাদ শুরু হয়। সিলেট শহরের উপকন্ঠে ১৮৫৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক আবাদ মালনিছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বাগানে চা উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকে এ দেশে চা একটি কৃষি ভিত্তিক শ্রমঘন শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, আমদানি বিকল্প দ্রব্য উৎপাদন এবং গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মাধ্যমে চা জাতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরবর্তীতে ১৮৬০ সালে হবিগঞ্জের লালচাঁন্দ চা বাগান ও মৌলভীবাজারের মির্তিঙ্গা চা বাগানে চায়ের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়। এরপর সিলেটে ও চট্টগামে চা বাগানের বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পঞ্চগড়ে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চায়ের চাষ শুর হয় এবং ২০০৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে বান্দরবানে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চায়ের চাষ শুর হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমানে পঞ্চগড়ে একটি ও বান্দরবানে একটি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উপকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে।