ভারত উপমহাদেশে চাঃ
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নানা কারণে চীন এবং পার্শববর্তী দেশগুলোয় বাণিজ্যিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। চা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও একই সমস্যায় পড়তে হয় কোম্পনীকে। তাই উনিশ শতকের শুরুতে কোম্পানীকে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়। জন কোম্পানী অধিকৃত ভারতে চা চাষের নতুন সম্ভাবনার মধ্যে সমস্যাটির সমাধান খুজে পায়। আসামের জঙ্গলে ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে মেজর স্কট এবং ক্যাপ্টেন সিএ ব্রুস বা লেঃ চার্ল্টন চা গাছ আবিষ্কার করেন। ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রথম চীন থেকে চা বীজ আনা হয়য় বলে জানা যায়। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে জোসেফ ব্যাংক (উদ্ভিদতত্ত্ববিদ) হিমালয়ের পাদদেশে চা আবাদের সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছিলেন। তার প্রায় একশ বছর পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক কর্মচারী রবার্ট ব্রুস ও তার ভাই (১৮৩১) চার্লস নিশ্চিত করেন যে আসাম এলাকায় স্থানীয় চা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সম্ভব এবং এই লক্ষে তারা সদ্য প্রতিষ্ঠিত কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেনে চায়ের বীজ এবং নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান। ১৮৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লর্ড বেন্টিংক 'চা কমিটি' গঠন করেন। কমিটির সেক্রেটারি জি আই গর্ডঙ্কে চীনে পাঠিয়ে চা বীজ আনার ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৩৫ সালে প্রথম ইন্ডিয়ান টি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। নাম দেয়া হয় 'আসাম টি কোম্পানি'। ১৮৩৬ সালে ব্রুসকে চা বাগানের অধীক্ষক নিযুক্ত করা হয়। চার্লস ব্রুস পৃথিবীর প্রথম পেশাদার টি প্লান্টার হিসেবে খ্যাতি অ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৮৫০ সালে দার্জিলিং এ চায়ের আবাদ শুরু হয়। ১৮৩৯ সালে বেঙ্গল টি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা কর হয় কলকাতায়।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নানা কারণে চীন এবং পার্শববর্তী দেশগুলোয় বাণিজ্যিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। চা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও একই সমস্যায় পড়তে হয় কোম্পনীকে। তাই উনিশ শতকের শুরুতে কোম্পানীকে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়। জন কোম্পানী অধিকৃত ভারতে চা চাষের নতুন সম্ভাবনার মধ্যে সমস্যাটির সমাধান খুজে পায়। আসামের জঙ্গলে ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে মেজর স্কট এবং ক্যাপ্টেন সিএ ব্রুস বা লেঃ চার্ল্টন চা গাছ আবিষ্কার করেন। ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রথম চীন থেকে চা বীজ আনা হয়য় বলে জানা যায়। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে জোসেফ ব্যাংক (উদ্ভিদতত্ত্ববিদ) হিমালয়ের পাদদেশে চা আবাদের সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছিলেন। তার প্রায় একশ বছর পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক কর্মচারী রবার্ট ব্রুস ও তার ভাই (১৮৩১) চার্লস নিশ্চিত করেন যে আসাম এলাকায় স্থানীয় চা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সম্ভব এবং এই লক্ষে তারা সদ্য প্রতিষ্ঠিত কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেনে চায়ের বীজ এবং নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান। ১৮৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লর্ড বেন্টিংক 'চা কমিটি' গঠন করেন। কমিটির সেক্রেটারি জি আই গর্ডঙ্কে চীনে পাঠিয়ে চা বীজ আনার ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৩৫ সালে প্রথম ইন্ডিয়ান টি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। নাম দেয়া হয় 'আসাম টি কোম্পানি'। ১৮৩৬ সালে ব্রুসকে চা বাগানের অধীক্ষক নিযুক্ত করা হয়। চার্লস ব্রুস পৃথিবীর প্রথম পেশাদার টি প্লান্টার হিসেবে খ্যাতি অ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৮৫০ সালে দার্জিলিং এ চায়ের আবাদ শুরু হয়। ১৮৩৯ সালে বেঙ্গল টি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা কর হয় কলকাতায়।